আজ মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
এই করনাকালীন সময়ে আজকের কৃষি আজকে আলোচনা করবে করলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে যাতে সবাই নিয়মিত করলা খেয়ে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ধরে রাখতে পারেন।
প্রায় সারাবছর বাজারে তেতো স্বাদের সবজি করলার প্রাপ্তি মেলে। ভাজি, ভর্তা বা ঝোলে করলার কদর বেশ। তেতোর কারণে অনেকে আবার খেতেও চায় না।
তবে স্বাদরে চেয়ে ওষুধের গুণই করলাকে সবার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান অঞ্চলের আদিবাসীরা বহু বছর ধরেই করলাকে ডায়াবেটিস, পেটের গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, জন্ডিস ইত্যাদিতে ঔষুদ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
এশিয়া অঞ্চলে হাজার বছর ধরে এটি ঔষুধের গুণেভরা সবজি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
খাদ্যশক্তিঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় পাবেন খাদ্যশক্তি ১৭ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেটস ৩.৭০ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, খাদ্যআশ ২.৮০ গ্রাম, ফোলেট ৭২ মাইক্রো গ্রাম, নিয়াসিন .৪০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৪৭১ আইইউ , ভিটামিন সি ৮৪ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ২৯৬ মিলিগ্রাম , ক্যালসিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম।
পুষ্টিগুণের বিবেচনায় করলা অনেক সমৃদ্ধ বড় ধরনের রোগ সারাতে করলায় লুকিয়ে আছে অসাধারণ গুণ।
আসুন জেনে নেওয়া যাক তিতা করলার গুণ সম্পর্কে :
করলা এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোতে সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
সেই সঙ্গে শরীরের কোষের গ্লুকোজের বিপাকে ক্রিয়া ও বাড়িয়ে দেয় । ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা কমে।
করলায় আছে যথেষ্ট লেীহ, ভিটামিন এ, সি এবং আশ। এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ এবং সি বার্ধ্ক্য বিলম্বিত করে।
এছাড়া করলায় রয়েছে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টিকারী লুটিন এবং ক্যানসার প্রতিরোধকারী লাইকোপিন।
করলায় আছে ই-কোলাই নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে জীবাণুনাশী ক্ষমতা । করলা রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসারইড বা টিজি কমায় আর বাড়ায় ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল। এতে নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ।
বিশেষঞ্জরা বলছেন, প্রতিদিন করলা গ্রহণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় এবং রক্ত নালিতে চর্বি জমার কারণে হার্ট্ অ্যাটাকের প্রবণতা কমায়।
খাবারের অরুচি দেখা দিলে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে এক চা চামচ করে ফলের রস সকাল ও বিকালে খেলে খাবারে রুচি বাড়বে।
ম্যালেরিয়ায় করলা পাতার রস খেলে খুব উপকার মেলে। এছাড়াও ম্যালেরিয়ার রোগিকে দিনে তিনটে করলার পাতা ও সাড়ে তিনটি আস্ত গোলমরিচ এক সাথে থেতো করে নিয়ম করে ৭ দিন খাওয়ালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।