মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

  • লাস্ট আপডেট : শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৩৭ টাইম ভিউ
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আম মৌসুমি ফল। এটা শুধু গ্রীষ্ম কালেই পাওয়া যায়। কাচা আম দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায় এছাড়াও কাচা আম, মরিচ, লবণ ও কাসুন্দি দিয়ে মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা। কাঁচা আম খেতে কিছুটা টক হলেও পাকা আম খেতে সরস ও মিষ্টি। অনেকের দাবি আমকে জাতীয় ফল করা হোক, কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, আম জাতীয় ফল না হলেও আম গাছ কিন্তু ঠিকই বাংলাদেশের জাতীয় গাছের মর্যাদা পেয়েছে।

১। দিয়ে কাঁচা আম খেলে শরীরের অতিরিক্ত ক্ষতিকর পানি থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং শরীরের তৃষ্ণা মিটায়। উপরন্তু, এটা খুব উচ্চ তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।

২। গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের জুস অত্যধিক ঘাম এর কারনে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং লোহার অত্যধিক ক্ষতি রোধ করে।

৩। শুকনো আম পাউডারকে বলা হয় ‘আমচুর’। এটি স্কার্ভি চিকিত্সায় অত্যন্ত উপকারী (ভিটামিন সি এর অভাব)।

৪। কাঁচা আম পেক্টিন (pectin) একটি সমৃদ্ধশালী উৎস, মধু এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের চিকিত্সা অত্যন্ত উপকারী। এটি গ্রীষ্মকালীন ডায়রিয়া, আমাশয়, পাইলস, দীর্ঘস্থায়ী এঁড়ে, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য ওষুধ হিসেবে খুব কার্যকর হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।

৫। কাঁচা আম এর উচ্চ ভিটামিন সি রক্তনালীসমূহের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন রক্ত কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটা, যক্ষা, রস্বল্পতা, কলেরা এবং অতিসার রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৬। কাঁচা আমের সঙ্গে চিনি, জিরা এবং চিম্টি লবণ, মিশিয়ে সেদ্ধ করে জুস করে খেলে ঘামাচি রোধ করতে সাহায্য করে, এবং গ্রীষ্মকালে স্ট্রোকের ঝুকি হতে রক্ষা করে।

৭। এটা যকৃতের রোগ চিকিত্সায় সাহায্য করে ও পিত্ত অ্যাসিড কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে লিভারকে রক্ষা করে।
এটা পিত্ত অ্যাসিড লুকাইয়া বৃদ্ধি ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ আঁত পরিষ্কার হিসেবে যকৃতের রোগ চিকিত্সায় সাহায্য করে.

আরও পড়ুন  প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে রাক্ষুসে শোল চাষ

৮। কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শরীরকে রক্ষা করে।

৯। এটা মর্নিং সিকনেস চিকিত্সার সহায়ক।

১০। কাঁচা আম ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস এবং এটি মনোবল উন্নত করে ও রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

১১। একটি ক্ষারীয় খাদ্য হিসাবে অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

 

-সূত্র: হেলথ বেনিফিট।

সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
একই রকম পোস্ট