ক্যাপসিকাম চাষের নিয়ম ও আয় ব্যয় এর হিসাব

ক্যাপসিকাম চাষের নিয়ম ও আয় ব্যয় এর হিসাব

আপনি কি জানেন ক্যাপসিকাম চাষ করে কত টা়কা ইনকাম করা সম্ভব ?? এই লেখাটিতে ক্যাপসিকাম চাষের নিয়ম আয় ব্যয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ক্যাপসিকাম বর্তমানে বাজারের সবচেয়ে দামী সবজি গুলোর মধ্যে একটি। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম বাজারে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি একটু জটিল হওয়ার কারনে এবং এর বীজের দাম বেশি হওয়ায় কারণে বেশিরভাগ মানুষই এর চাষাবাদ করতে ভয় পায় । কিন্তু একটু সচেতনভাবে ক্যাপসিকামের চাষ করলে এর থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। অনেকেই মনে করেন ক্যাপসিকাম জমিতে চাষ করা যায় না কিন্তু এটা একেবারেই ভুল। খোলা অবস্থায় জমিতে চাষ করলে কিছু নির্দিষ্ট জাত রয়েছে যেগুলোর একটি থেকে আপনাকে এর জাত নির্বাচন করতে হবে। ক্যাপসিকাম এর বীজ গজানোর নিয়ম জানতে ও এর চাষ পদ্ধতি দেখতে আমার ইউটিউব চ্যানেল “grow life” এ দেখতে পারেন ।

ক্যাপসিকাম এর বিভিন্ন জাত/প্রজাতি

জমিতে চাষ উপযোগী ক্যাপসিকাম প্রজাতি গুলোর মধ্যে রয়েছে California wonder, yellow wonder ইত্যাদি। এছাড়া বাংলাদেশ এর আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিছু হাইব্রিড জাত তৈরি করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে সিদ্দিক বাজারে ক্যাপসিকাম এর বীজ পাওয়া যায়। প্রতি প্যকেটের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং প্যাকেটে ৫০০ করে বীজ থাকে।

এক একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে আয় ব্যয় এর হিসাব

দুই ফুট বাই দুই ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ক্যাপসিকাম এর চারা লাগাতে হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত সঠিকভাবে পরিচর্চা করলে এবং প্রয়োজনীয় মাত্রায় সার ও গোবর ব্যবহার করতে পারলে এক একর জমি থেকে প্রায় ১০টন /১০০০০ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন পাওয়া যায়। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম যদি পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা করে বিক্রি করা হয় তাহলে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া ভারতের কিছু চাষীরা এক বিঘা জমিতে ৫ টন পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারে।

ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকি

ক্যাপসিকাম চাষে লাভ থাকলেও এতে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে এমনকি বাংলাদেশেও বেশিরভাগ ক্যাপসিকাম চাষ হয় গ্ৰীন হাউজের ভেতরে । কারণ পোকা মাকড় এবং ছত্রাক জাতীয় রোগের আক্রমণ এর ফলনে প্রচুর ব্যাঘাত সৃষ্টি করে । এছাড়া অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে গাছ খুব দ্রুত মারা যায় । এই কারণে উচু জমিতে ক্যাপসিকাম এর চাষ করা হয় ।

ক্যাপসিকাম এর বালাই ব্যবস্থাপনা

ক্যাপসিকাম চাষে, কৃষিবিদরা মরিচ চাষে যে সব কীটনাশক ব্যবহার করা হয় সেগুলো ব্যবহার এর পরামর্শ দেন। এছাড়া কীটনাশক হিসেবে জৈব বালাইনাশক যেমন নিমের তেল , নিমের পাতা সেদ্ধ করা পানি, রসুনের তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
ছত্রাক জাতীয় রোগের আক্রমণ বন্ধ করতে। এলোভেরার পাতার রস, বেকিং সোডা, এবং কাঠের ছাই ব্যবহার করা যায়।