শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

ক্ষুরা রোগ

  • লাস্ট আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১১১ টাইম ভিউ
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
ইহা সকল বয়সের গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়ার ভাইরাসজনিক একটি মারাত্মক অতি ছোঁয়াছে রোগ।
লক্ষণঃ

শরীরের তাপমাত্রা অতি বৃদ্ধি পায়। জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, সম্পূর্ণ মুখ গহ্বর, পায়ের ক্ষুরের মধ্যভাগে ঘা বা ক্ষত সুষ্টি হয়। ক্ষত সৃষ্টির ফলে মুখ থেকে লালা ঝরে, সাদা ফেনা বের হয়। কখনও বা ওলানে ফোসকার সৃষ্টি হয়। পশু খোঁড়াতে থাকে এবং মুখে ঘা বা ক্ষতের কারণে খেতে কষ্ট হয়। অল্প সময়ে পশু দূর্বল হয়ে পরে। এ রোগে গর্ভবর্তী গাভীর প্রায়ই গর্ভপাত ঘটে। দুধালো গাভীর দুধ উৎপাদন মারাত্মক ভাবে হ্রাস পায়। বয়স্ক গরুর মৃত্যুহার কম হলেও আক্রান্ত বাছুরকে টিকিয়ে রাখা কঠিন।
করণীয়ঃ
আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে। অসুস্থ পশুর ক্ষত পটাশ বা আইওসান মিশ্রিত পানি দ্বারা ধৌত করে দিতে হবে। ফিটকিরির পানি ১০ গ্রাম (২ চা চামচ) ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। সোহাগার খৈ মধু মিশিয়ে মুখের ঘায়ে প্রলেপ দিতে হবে। নরম খাবার দিতে হবে। পশুকে শুস্ক মেঝেতে রাখতে হবে কোন অবস্থায়ই কাদা মাটি বা পানিতে রাখা যাবেনা। সুস্থ অবস্থায় গবাদিপশুকে বছরে দুইবার প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। খাওয়ার সোডা ৪০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে পায়ের ঘা পরিষ্কার করে সালফানাসাইড পাউডার লাগাতে হবে। সালফানামাইড / টেট্রাসাইক্লিন অথবা উভয় ঔষধ ৫- ৭ দিন ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন  গরু মোটাতাজাকরণ প্রযুক্তি

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
একই রকম পোস্ট