বোরো চারা রোপণের পর এবার এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। পাশাপাশি অন্য বছরের তুলনায় তেমন লোডশেডিং না থাকায় সেচের পানির অভাব ছিল না। এছাড়া তেল, সারসহ সব কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় গাইবান্ধায় চলতি বছর বোরোর বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ। তবে ধানের দাম নিয়ে কৃষকের চোখেমুখে রয়েছে শঙ্কা।
দখিণা বাতাসের ধাক্কায় ফসলের মাঠ জুড়ে এখন সবুজের ঢেউ। ধান ক্ষেতগুলোতে হৃষ্টপুষ্ট ধানের গোছার পেট চিরে মৌ মাথায় নিয়ে উঁকি দিচ্ছে একেকটি ধানের শীষ। চাষিরা বলছেন, সময়মতো তেল-সার বা পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ভাল ফলন হয়, ফসলের মাঠ জুড়ে সবুজের এমন হাসি তারই উদাহরণ।
ফলন ভালো হলেও ধানের ন্যায্য দাম নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
ভাল উৎপাদনের জন্য সব নিয়ামকের উপস্থিতির ফলে এবার বোরোতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানালেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) শওকত ওসমান।
গাইবান্ধা জেলায় এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
কালবৈশাখী ঝড় বা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার ষোলআনা ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। তবে কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফসলের উৎপাদন খরচের সাথে মিল রেখে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হলে হয়তো কৃষকরা এবার লাভের মুখ দেখবেন।