গুরুদাসপুরে সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন পাকা বাঙ্গি তুলতে।
রসুনের জমিতে সাথী ফল বাঙ্গি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন গুরুদাসপুরের কৃষক। বিগত প্রায় ৭ বছর ধরে এভাবে চাষ করে লাভবান হওয়ায় বাঙ্গি চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। উত্পাদিত এই বাঙ্গি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বাঙ্গি চাষের জন্য আলাদা করে জমির দরকার হয় না। রসুন চাষের জমিতেই বাঙ্গি বীজ বপন করতে হয়। রসুন উঠে যাওয়ার পরই বাঙ্গির গাছ ছড়িয়ে পড়ে ক্ষেতে। তখন সামান্য সেচ ও কীটনাশক দিয়ে যত্ন করলেই গাছে গাছে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করে। চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাঙ্গি তুলতে শুরু করেন কৃষক।
এ অঞ্চলের এক কৃষক জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে রসুনের ভালো ফলন হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। ফলে অন্যান্য খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় রসুনের লোকসান পোশাতে বাঙ্গিচাষে ঝুঁকছে এ অঞ্চলের কৃষক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গুরুদাসপুরে এ বছর ৪২০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ও ৫২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন কৃষক। বিগত কয়েক বছর ধরে রসুনের ভালো দাম না পাওয়ায় একই জমিতে বিঘায় ৭-৮ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঙ্গি চাষ করছেন এ অঞ্চলের কৃষক। অল্প খরচে বাঙ্গি চাষে অধিক লাভ হওয়ায় রসুনের লোকসান পুষিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। তাছাড়া এ মৌসুমে প্রখর রোদ আর গরমের কারণে বাঙ্গির চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেশি।
গুরুদাসপুরে বাঙ্গিকে ঘিরে কাঁচা-পাকা সড়ক ও মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে পাইকারী বাঙ্গি বিক্রির মোকাম। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কল্যাণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাক নিয়ে ছুটে আসছেন মহাজন ও ফরিয়ারা। তারা এসব পাইকারী মোকাম ও কৃষকের ক্ষেত থেকে পাইকারী দরে বাঙ্গি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার ফরিয়ারা কম দামে কিনে স্থানীয় হাট-বাজার ও দূরের গঞ্জে নিয়ে বিক্রি করছেন।
সোর্স- ইত্তেফাক