আজ মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
আমরা সচরাচর গাভীর দুধ খেতেই পছন্দ করি এর বাহিরে অন্য কোন দুধের পুষ্টিগুণের চিন্তাও করি না তাই আলোচনা করবো ছাগলের দুধের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে। সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং শেয়ার করে দিন সবার কাছে।
উচ্চমাত্রায় পুষ্টিগুণের কারণে ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ দুধ। দেহের স্বাস্থ্য উন্নয়নে দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের দৈনিক ক্যালসিয়াম ও চর্বির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এক গ্লাস দুধ হজম প্রক্রিয়া ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
সাধারণ নানা পুষ্টি উপাদানের উৎস হিসেবে গরুর দুধের উপরই মানুষ নির্ভরশীল। অনেকে আছেন, দুধ খেতে পছন্দ করেন কিন্তু গরুর দুধ হজম করতে সমস্যা হয় তারা ছগলের দুধ বেছে নিতে পারেন। এটি গরুর দুধের মতোই স্বাস্থ্যকর।
বিভিন্ন রোগে ছাগলের দুধ: বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে ছাগলের কাঁচা দুধ বেশ কার্যকরী। ডেঙ্গু আক্রান্তদের রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে ছাগলের কাঁচা দুধ উপকারী। এর অ্যান্টিবডি ক্ষমতা রয়েছে এবং এটি জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভের প্রাকৃতিক উপাদান বলা যায়।
গরুর দুধের বিকল্প: গরুর দুধের বিকল্প হিসেবেও নিয়মিত পান করতে পারেন। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ছাগলের দুধ দেহের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কার্যকরী। অন্যান্য খাদ্য থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে ছাগলের দুধ।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নতি: ছাগলের দুধে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান পাওয়া যায়। যা অন্ত্রের প্রদাহ কার্যকরীভাবে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের হজমশক্তি কম যাদের জন্য ছাগলের দুধ উৎকৃষ্ট খাবার; এতে কোনো গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি বা হজম সমস্যা দেখা দেয় না।
বাড়ন্ত শিশুদের জন্য উপকারী: প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে। উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকার কারণে এটি দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে। এটি বাড়ন্ত শিশুদের দেহে পর্যাপ্ত শক্তি জোগায়।
আর্টিকেল টি ভালো লাগলে সকল বন্ধুরের মাঝে শেয়ার করে দিন।