ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ

আজকে আমরা আলোচনা করবো ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি নিয়ে যাতে বাগান প্রেমী বন্ধুরা ছাদে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি শিখতে পারে। সবাই পড়ে শেয়ার করে দিবেন অন্য বন্ধুদের পড়ার জন্য। 

বাংলাদেশে এখন ছাদ কৃষি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অনেক ফলই বাগানীরা ছাদে চাষ করছে। আর আজকে আলোচনা করা হবে ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি নিয়ে।

ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে একদম ক্যাকটাসের মতো । পাতাবিহীন এই গাছটি দেখে অনেকেই একে ক্যাকটাস বলেই মনে করেন। ডিম্বাকৃতির উজ্জ্বল গোলাপি রঙের এই ফলের নাম শুনলে কেমন জানি অদ্ভুত মনে হয় ।

এ আবার কেমন ফল । এটা কি আদৌ খাবার উপযোগী কিনা মনে সন্দেহ জাগে । ফলের ভিতরের অংশ লাল ও সাদা হয়। ভিতরে নরম শাঁস এবং ফলের মিষ্ট গন্ধ আছে । শাঁসের মধ্যে ছোট ছোট নরম বীজ থাকে। ড্রাগন গাছে ফুল ফোটার ৩৫ – ৪০ দিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযুক্ত হয় ।

চাষ পদ্ধতিঃ

প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ বেলে-দোঁআশ মাটিই ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম। ছাদে ড্রাগন ফলের কাটিং লাগানোর জন্য ২০ ইঞ্চি কালার ড্রাম বা টব সংগ্রহ করতে হবে । ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে । যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে । টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । টব বা ড্রামের গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে সবসময় রোদ থাকে ।

এবার ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টি,এস,পি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার,একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন । অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন একইভাবে রেখে দিতে হবে । মাটি যখন ঝুরঝুরে হবে তখন একটি কাটিং এর চারা উক্ত টবে রোপন করতে হবে ।

গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে । যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশী পানি না ঢুকতে পারে । একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে । ড্রাগন ক্যাক্টাস জাতীয় গাছ তাই পানি খুব কম দিতে হবে । লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় পানি কখনই জমে না থাকে ।

অন্যান্য পরিচর্যাঃড্রাগনের গাছের কান্ড লতানো প্রকৃতির । তাই চারা লাগানোর পর গাছ কিছুটা বড় হয়ে গেলে খুঁটি বা পিলার পুঁতে দিয়ে ড্রাগন ফল গাছ বেঁধে দিতে হবে ।

ফলের ব্যবহারঃ

ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে খেলে ভালো লাগে। ফলকে ২/৪ টুকরা করে চামচ দিয়ে কুরে এর শাঁস খাওয়া যায় । এ ছাড়াও খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়া যায়।