রোপনের সময়ঃ
আগাম ফসলের জন্য কার্তিক (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর), নাবী ফসলের জন্য মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল)। তবে বানিজ্যিকভাবে চাষ করার জন্য অগ্রহায়ন-পৌষ (ডিসেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারী) মাসে চারা লাগানো হয়।
বীজ হারঃ বিঘা প্রতি ৫০০০ টি চারার প্রয়োজন হয়।
স্পেসিং/দূরত্বঃ সারি – সারির দূরত্ব হবে = ২ ফুট, গাছ – গাছের দূরত্ব হবে= ১.৫ ফুট।
উৎসঃ বারি কৃষি প্রযুক্তি হাত বই (৬ষ্ঠ সংস্করণ), বারি, গাজীপুর
পানি কচু চাষে সার ব্যবস্থাপনা
পানি কচুর ভাল ফলন পাওয়ার জন্য প্রতি শতাংশ (ডেসিমাল) মাঝারি উর্বর জমির জন্য নিম্নোক্ত হারে সার প্রয়োগ করতে হবেঃ
সমুদয় গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট (দস্তা), বোরণ ও অর্ধেক পটাশ সার জমি তৈরির আগে শেষ চাষের সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ১.৫-২ মাস পর অবশিষ্ট পটাশ ও ইউরিয়া সারের ছয় ভাগের এক ভাগ ছিটিয়ে দিতে হবে। বাকি পাঁচ ভাগ ইউরিয়া সার সমান কিস্তিতে ১৫ দিন পর পর জমিতে সারির পার্শ্বে প্রয়োগ করতে হবে।
সারের নাম | সারের পরিমাণ
|
মন্তব্য |
পচা গোবর/কম্পোস্ট | ৪০.০০-৬০.০০ কেজি | এলাকা বা মৃত্তিকাভেদে সারের পরিমাণে কম-বেশী হতে পারে। অধিকতর তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন। |
ইউরিয়া | ১.২০-১.৪০ কেজি | |
টিএসপি | ০.৬১-০.৮১ কেজি | |
এমওপি/পটাশ | ১.২০-১.৪০ কেজি | |
জিপসাম | ০.৪০-০.৫৩ কেজি | |
দস্তা | ০.০৪-০.০৬ কেজি | |
বোরণ | ০.০৪-০.০৫ কেজি |
প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সমুদয় গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট (দস্তা), বোরণ ও অর্ধেক পটাশ সার জমি তৈরির আগে শেষ চাষের সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ১.৫-২ মাস পর অবশিষ্ট পটাশ ও ইউরিয়া সারের ছয় ভাগের এক ভাগ ছিটিয়ে দিতে হবে। বাকি পাঁচ ভাগ ইউরিয়া সার সমান কিস্তিতে ১৫ দিন পর পর জমিতে সারির পার্শ্বে প্রয়োগ করতে হবে।
উৎসঃ বারি কৃষি প্রযুক্তি হাত বই (৬ষ্ঠ সংস্করণ), বারি, গাজীপুর