পেঁপের চারা ধ্বসা রােগ দমন
পেঁপের চারার বেশ কিছু রোগ দেয়া দেয়। এর মধ্যে আজকে আমরা আলোচনা করবো পেঁপের চারা ধ্বসা রােগ দমন পদ্ধতি নিয়ে।পেঁপের চারা ধ্বসা রোগ দমন পদ্ধতিটি সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং অন্য কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে শেয়ার করে দিন।
লক্ষণ:
আক্রান্ত চারার গােড়ার চারদিকে দাগ দেখা যায়।। শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায়। স্যাতস্যাতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে রােগের প্রকোপ বাড়ে। রােগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি, আক্রান্ত চারা ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। একবার রোগের প্রকোপ বাড়লে সহজে রোগ দমন করা যায় না। খুব কম সময়েই গাছের ধ্বংস দৃষ্টিগোচর হয়।
প্রতিকার:
১. পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করা
২. আক্রান্ত চারা বীজতলা থেকে অপসারণ করা।
পরবর্তীতে যা যা করবেন না:
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই গাছের বা চারা আশেপাশে কোন শাকসবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন:
১. রােগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা
২.লাগানাের আগে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম
কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন বা নােইন অথবা ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০মিনিট ধরে বীজ শােধন করে নিন।
৩. রৌদ্রযুক্ত উচু স্থানে বীজতলা তৈরী করুন।
৪. বীজতলায় বীজ বপনের ১৫ দিন আগে শতাংশ প্রতি ৮৫ গ্রাম হারে স্ট্যাবল ব্লিচিং পাউডার ছাই বা বালির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে হালকা পানি দিয়ে বা চাষ দিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিন অথবা পলি ব্যাগের মাটি শােধন করে নিন।
উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো মেনে চললেই পেঁপের চারা ধ্বসা রোগ দমন খুব সহজেই করা সম্ভব। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপের চাষ করে লাভবান হতে তাই আমাদের উচিত উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো মেনে পেঁপে চাষ করা। তবেই আমরা লাভবান হতে পারব।