ফুল ঝরে গেলে বা ফল ঝরে ফেটে গেলে কি করবেন জেনে নিন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ফুল ঝরে গেলে বা ফল ঝরে ফেটে গেলে কি করবেন জেনে নিন

বিভিন্ন ধরনের কৃষিজ ফসলে সারের অভাবে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়। যেসব সার ফসলের জন্য কম লাগে কিন্তু নির্ধারিত মাত্রায় ব্যবহার না করলে ফসলের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয় সেসব সারের মধ্যে বোরন অন্যতম।

বোরনের অভাবে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। ফুল সংখ্যায় কম আসে এবং ফুল ঝরা বৃদ্ধি পায়। ফল আকারে ছোট হয় ও ফেটে যায়। ফল এবড়ো খেবড়ো বা বিকৃত হয়, আভ্যন্তরিন দানা পুস্ট হয় না, অপরিপক্ক অবস্থায় ফল ঝরে যায় ।

বোরন সারের কাজ : গাছের কোষের দেয়াল শক্ত করে, শিকড় ও ডগার বৃদ্ধি হয়, ফল ফেটে যাওয়া রোধ করে, নিষিক্তকরণ ও সীম জাতীয় দানাদার ফলের দানার গঠনে সাহায্য করে, ফলন বৃদ্ধি করে।

প্রয়োগ মাত্রা বা পরিমান : ফলগাছে ফুল আসার আগে প্রয়োগ করলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে, ছোট টবে আধা চা চামচ বড় টবে এক চা চামচ আর হাফড্রামে এক টেবিল চামচ। টবের উপরের মাটি এক/দেড় ইঞ্চি তুলে টবের ভিতরের মাটির সাথে ভাল করে মিশিয়ে পরে ঐ তোলা মাটি গুড়া করে সুন্দর করে ঢেকে দিতে হবে।

ফল বৃদ্ধির সময় জিংক প্রতি লিটার জলে ১ গ্রাম, বোরন (বোরাক্স/ বরিক অ্যাসিড) প্রতি লিটারে ২ গ্রাম একত্রে ১ লিটার জলে মিশিয়ে ২০-২২ দিন পর প্রথমবার এবং ৪০-৪৫ দিন পর ২য় বার স্প্রে করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা কমে যায়।

যেসব গাছে বারোমাস ফল থাকে ২ মাস পর পর, একবার ফল দেয় ঐ গাছে বছরে একবার, দুইবার ফল দেয় ফুল আসার এক মাস আগে একবার বোরন প্রয়োগ করলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে।

বোরনের অভাব পূরণে যদি সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে ফসলের ভালো ফলন পাওয়া যায়। বোরন পরিমাণে যেমন খুব বেশি লাগে না, তেমনি বেশি প্রয়োগ করলেও উল্টো ফল দেয় অর্থাৎ বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। ফলন কমে যায়। তাই সঠিক মাত্রায় ও সঠিক সময়ে বোরন প্রয়োগ করা জরুরি নয়তো অতিরিক্ত প্রয়োগের ফলে ফলন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

আরও পড়ুন   গ্রীষ্মকালীন সবজির সার ব্যবস্থাপনা
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now