বহেড়ার ভেষজ গুণাগুণ

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বহেড়ার ভেষজ গুণাগুণ

বহেড়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ। বহুকাল ধরে এর বীজ, ফল, বাকল প্রভৃতি নানা রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায়ব্যবহার হয়ে আসছে।

বহেড়া গাছ উচ্চতায় ৬০-১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গাছের গুড়িও অনেক লম্বা হয়। শীত কালে এর ফলপুষ্ট হয়, তারপর নিজ থেকেই গাছ থেকে ঝরে পড়ে। এগাছের ফল দু´রকমের হয়- এক প্রকার বহেড়া আকৃতিতে গোল, আরেকটি ডিম্বাকৃতির। এর ফল ওফলের শাস ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বহেড়ার ভেষজ গুণাগুণ

হজমশক্তি বৃদ্ধি:

বহেড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক। এ ফলের খোসা ভালোকরে গুঁড়ো করে পানির সঙ্গে এ গুঁড়ো দিনে দুবার খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।

শ্লেষ্মা নিরাময়:

শ্লেষ্মা নিরাময়ের জন্য প্রথমে বহেড়া ভাল করে বেটেনিন। এর সঙ্গে গরম ঘি মিশিয়ে আবার গরম করে নিয়ে মধু দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এভাবে বহেড়া খেলে শ্লেষ্মার পাশাপাশি সর্দি-কাশি তাড়াতেও বহেড়া বেশ উপকারি।

আমাশয় দূর:

যারা অনেক দিন যাবত আমাশয়ে ভুগছেন। তারাপ্রতিদিন সকালে বহেড়ার গুঁড়ো মেশানো পানি নিয়মিত থেতে থাকুন আমাশয়ে উপকার পাবেন।

হাঁপানি হতে মুক্তি:

বহেড়া বীজের শাঁস ২ ঘণ্টা অন্তর চিবিয়ে খেলে হাঁপানিথেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কৃমি নাশ:

পেটের কৃমি রোগে বহেড়া বেশ উপকারি।

ডায়রিয়া প্রতিকার:

ডায়রিয়া হলে বহেড়ার খোসা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতেপারেন। অল্প মাত্রায় খেলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াদেখা দেয় না।

অনিদ্রা রোগে:

রাতে যাদের ঘুম হয় না বা ঘুম কম হয় তাদের জন্য বহেড়া খাওয়া উপকারি।

ফোলা কমাতে:

শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে এবং ব্যথা হলে বহেড়ার ছাল বেটে নিন। একটু গরম করে এ ছাল দিয়েফুলে যাওয়া স্থানে প্রলেপ দিন। ব্যথা ও ফোলা কমেযাবে।

শ্বেতী থেকে বাঁচতে:

বহেড়ার বিচির শাঁসে তেল থাকে। এ তেল দিয়েশ্বেতী স্থানে প্রলেপ দেয়া যেতে পারে। আশা করা যায়, অল্প দিনের মধ্যে রঙ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

আরও পড়ুন   খাদ্যাভাসে দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর

চুল পাকা প্রতিরোধ:

১০ গ্রাম পরিমাণ বহেড়ার ছাল পানি মিশিয়ে থেঁতো করেনিন। এ থেঁতলানো বস্তু এক কাপ পানিতে ছেঁকে নিন।এবার পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

তবে এসব রোগে বহেড়া ব্যবহার করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now