বহেড়ার ভেষজ গুণাগুণ
বহেড়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ। বহুকাল ধরে এর বীজ, ফল, বাকল প্রভৃতি নানা রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায়ব্যবহার হয়ে আসছে।
বহেড়া গাছ উচ্চতায় ৬০-১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গাছের গুড়িও অনেক লম্বা হয়। শীত কালে এর ফলপুষ্ট হয়, তারপর নিজ থেকেই গাছ থেকে ঝরে পড়ে। এগাছের ফল দু´রকমের হয়- এক প্রকার বহেড়া আকৃতিতে গোল, আরেকটি ডিম্বাকৃতির। এর ফল ওফলের শাস ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বহেড়ার ভেষজ গুণাগুণ
হজমশক্তি বৃদ্ধি:
বহেড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক। এ ফলের খোসা ভালোকরে গুঁড়ো করে পানির সঙ্গে এ গুঁড়ো দিনে দুবার খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
শ্লেষ্মা নিরাময়:
শ্লেষ্মা নিরাময়ের জন্য প্রথমে বহেড়া ভাল করে বেটেনিন। এর সঙ্গে গরম ঘি মিশিয়ে আবার গরম করে নিয়ে মধু দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এভাবে বহেড়া খেলে শ্লেষ্মার পাশাপাশি সর্দি-কাশি তাড়াতেও বহেড়া বেশ উপকারি।
আমাশয় দূর:
যারা অনেক দিন যাবত আমাশয়ে ভুগছেন। তারাপ্রতিদিন সকালে বহেড়ার গুঁড়ো মেশানো পানি নিয়মিত থেতে থাকুন আমাশয়ে উপকার পাবেন।
হাঁপানি হতে মুক্তি:
বহেড়া বীজের শাঁস ২ ঘণ্টা অন্তর চিবিয়ে খেলে হাঁপানিথেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কৃমি নাশ:
পেটের কৃমি রোগে বহেড়া বেশ উপকারি।
ডায়রিয়া প্রতিকার:
ডায়রিয়া হলে বহেড়ার খোসা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতেপারেন। অল্প মাত্রায় খেলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াদেখা দেয় না।
অনিদ্রা রোগে:
রাতে যাদের ঘুম হয় না বা ঘুম কম হয় তাদের জন্য বহেড়া খাওয়া উপকারি।
ফোলা কমাতে:
শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে এবং ব্যথা হলে বহেড়ার ছাল বেটে নিন। একটু গরম করে এ ছাল দিয়েফুলে যাওয়া স্থানে প্রলেপ দিন। ব্যথা ও ফোলা কমেযাবে।
শ্বেতী থেকে বাঁচতে:
বহেড়ার বিচির শাঁসে তেল থাকে। এ তেল দিয়েশ্বেতী স্থানে প্রলেপ দেয়া যেতে পারে। আশা করা যায়, অল্প দিনের মধ্যে রঙ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
চুল পাকা প্রতিরোধ:
১০ গ্রাম পরিমাণ বহেড়ার ছাল পানি মিশিয়ে থেঁতো করেনিন। এ থেঁতলানো বস্তু এক কাপ পানিতে ছেঁকে নিন।এবার পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
তবে এসব রোগে বহেড়া ব্যবহার করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম।