ভূটানের কৃষি ও বনমন্ত্রী মি. লিয়েনপো ইয়েশী দর্জি বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন।
ভূটানের মন্ত্রী ইয়েশী দর্জি ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ দেশের অসাধারণ সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন এবং তার দেশে অনুরূপ সাফল্য অর্জনের লক্ষে ব্রির সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, ব্রির উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতসহ বিভিন্ন উৎপাদন প্রযুক্তি ভূটানকে ধান উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করতে সহায়ক হতে পারে।
মন্ত্রী বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে এসে পৌঁছলে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল তাকে স্বাগত জানান। ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন বিএআরআই এর সম্মেলন কক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম, অগ্রতি ও সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এসময় ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের পর ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে কৃষি ও বনমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভূটানের কৃষি বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম ও অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময়কালে তিনি স্বল্পমেয়াদীজাত উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন, যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি বিগত বছরগুলোতে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশকে উদ্বৃত্ব অবস্থানে নিয়ে যাওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের অর্জন ও অগ্রগতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন এবং ভূটানের সঙ্গে ব্রির সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রসমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার, ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. শাহজাহান কবীর, ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আনছার আলী, প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মো. আবু ছালেক, গবেষণা বিভাগ সমূহের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরি প্রতিনিধি ড. পল ফক্স।
তিনি ব্রির জৈব প্রযুক্তি, উদ্ভিদ প্রজনন ও কৃষি যান্ত্রিকায়ন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিভাগ, জিন ব্যাংক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ইনস্টিটিউটের প্রস্তুতি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন।