আজ রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
লেবুর রস জীবাণুনাশক, সংক্রমণ দমনকারী, হজমে সাহায্য করে, চর্বিকে দূরে রাখে। লেবু যে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে, সে কথা বহু আগে থেকে প্রমাণিত। লেবুতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। মূত্রের উৎপাদনের মাধ্যমে সহজে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হতে সাহায্য করে। লেবুর নিরাময় ক্ষমতা নিশ্চিত, যা অনেক গবেষণাও দেখা গেছে। লেবু অন্ত্র বা পেট পরিষ্কার করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
শরীরের ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই শরীরের ভেতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করতে হবে, যাতে বাড়তি ওজন সহজে কমতে পারে। তবে লেবু চিকিৎসা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই খাবারের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন। তারপর দুই থেকে তিন সপ্তাহ প্রতিদিন কয়েক গ্লাস পানির সঙ্গে এক গ্লাস তাজা লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন। নিয়ম করে প্রতিদিন খেতে হবে।
ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি অরগ্যানিক লেবু রস মিশিয়ে পান করুন। সারা দিনে কমপক্ষে দশ গ্লাস পানি পান করবেন। আর প্রথম গ্লাস ছাড়া অন্যান্যবার এক গ্লাস পানিতে আধখানা তাজা লেবুর রস দেবেন। অবশ্যই আগে থেকে করে রাখা রস খাবেন না। অন্তত দুই সপ্তাহ এভাবে লেবু পানি পান করুন। প্রথম গ্লাসে মধু দিতে পারেন, মধুতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে তা সাধারণ চিনির মতো ওজন না বাড়িয়ে বরং কমান।
নিয়মিত যে পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকেন, লেবুর চিকিৎসা চলাকালীন সেই খাবারের পরিমাণ কমিয়ে অর্ধেক করুন। এসময় মাছ, মাংস, মিষ্টি বা চর্বি জাতীয় খাবার কম খাবেন। সবজির স্যুপ করে খেতে পারেন, স্যুপের মধ্যেও লেবুর রস দিতে পারেন। ১০০ গ্রাম লেবুতে থাকে ১৭০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, যা আমাদের নার্ভ, হৃদযন্ত্র এবং পেশি শক্ত করতে সাহায্য করে? অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন হাঁটাহাঁটি একটু বেশি করবেন।
তিন সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পর দেখবেন ওজন কমেছে, শরীরটা অনেক হালকা লাগছে। আস্তে আস্তে আবার খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন। তবে তিন সপ্তাহ লেবু চিকিৎসার কথা একেবারে ভুলে যাবেন না, সবকিছুই সচেতনভাবে খাবেন। ফ্যাট জাতীয় খাবারের পর কুসুম গরম পানিতে ছোট একটি লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন। এতে বাড়তি ফ্যাটটুকু কেটে নেবে লেবুর রস। তাছাড়া ১০০ গ্রাম লেবুর রস সারা দিনের অর্ধেক ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণ করতে পারে।