আজ বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
শীতের প্রকোপ বাড়ছে।আর শীত মানেই ঠাণ্ডা, জ্বর বা কাশিতে আক্রান্ত হবার ভয়। পাশাপাশি শীতে আমাদের ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক এবং রুক্ষ। তাই এই সময়ে আমাদের শরীরের প্রয়োজন হয়ে পড়ে বিশেষ ধরনের যত্নের। তাই শীতকালে প্রতিদিনের খাবার নির্বাচনে সচেতনতা প্রয়োজন। চলুন একবার দেখে নিই কোন ধরনের খাবার খেলে এই শীতেও আমরা সুস্থ, সুন্দর থাকতে পারি-
মূল জাতীয় সবজি
শীতকালে যেসব মূল জাতীয় সবজিগুলো পাওয়া যায়, যেমন- গাজর, মুলো, ওলকপি, শালগম এসব সবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’ আছে। মুলো আলসার ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কিডনি ও পিত্ত থলিতে পাথর তৈরি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গাজরে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ। গাজর ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাজরের স্যুপ করে খেতে পারেন অথবা স্যালাড করেও খেতে পারেন। এ ছাড়া গাজরের জুসও খাওয়া যেতে পারে। ক্যারটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। শীতের কারণে ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।
কপি
শীতের টাটকা সবজির মধ্যে বাঁধাকপি বেশ উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন এবং খেতেও সুস্বাদু। খুব সহজেই এটি রান্না করা যায়। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’ আছে। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ শীতকালীন বিভিন্ন রোগ যেমন- জ্বর, কাশি ও টনসিল প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। এছাড়া সবজির বাজারে ব্রকোলি নামটি এখনও অনেকের কাছেই অপরিচিত। কিন্তু স্বাদ ও পুষ্টিগুণের কারণে ব্রকোলি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আঁশযুক্ত এই সবজির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ ও ‘কে’।
শাক
বিভিন্ন ধরনের শাক শীতকালে পাওয়া যায়। পালং শাক ও লাল শাক লৌহসম্বৃদ্ধ শাক। এ কারণে এই শাক রক্তস্বল্পতায় বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম থাকে।
কমলালেবু
কমলালেবু খেতে আমরা প্রত্যেকেই ভালবাসি। কিন্তু শুধু মুখের স্বাদে নয়, কমলালেবু আমাদের ত্বকের জন্যেও খুবই উপকারী। ভিটামিন সি থাকায় কমলালেবু আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ড্যামেজ হওয়া থেকে বাঁচায়।
সামুদ্রিক মাছ
স্যামন, টুনা, সার্ডিন এছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে। যা রুক্ষ, শুষ্ক ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে সাহায্য করে।
মধু
শীতে জ্বর, কাশি প্রতিরোধে মধুর জুড়ি মেলা ভার। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। ঘুমোনোর আগে বা সাকালে খাবারের সঙ্গে মধু খেতে পারেন। ভাল হয় এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে। তবে যেকোনও খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি’র মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ত্বকে ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য গ্রিন টি খুবই উপকারী। ঠান্ডা ও ফ্লু’র সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে গ্রিন টি।
মাশরুম
মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই শীতে ঠান্ডা ও ফ্লু’র সঙ্গে লড়াই করতে মাশরুম খুবই উপকারী।
রসুন
জ্বর ও ঠান্ডার জন্য রসুন বেশ কার্যকরী। রোগপ্রতিরোধ করতেও রসুন সাহায্য করে। কাঁচা রসুন সবচেয়ে ভাল কাজ করে। হজমের সমস্যা থাকলে রসুন রান্না করেও খেতে পারেন।
ওটমিল
ওটমিল শুধু একটি সুবিধাজনক ব্রেকফাস্ট নয়, এর পুষ্টি অনেক। ওটমিল শীতে আমাদের শরীরের জন্য যে অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয় তা সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
স্যুপ
শীতের সময় স্যুপ একদম সঠিক খাবার। গরম স্যুপ খেলে যেমন ঠাণ্ডা থেকে একটু মুক্তি পাওয়া যাবে তেমনি বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করা স্যুপ শরীরের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ করবে। স্যুপে একটু মুরগীর মাংস দিলে স্বাদও বেড়ে যাবে।