আজ মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

হাঁসের খামার থেকে মাসে আয় ২০ লাখ টাকা

হাঁসের খামার থেকে মাসে আয় ২০ লাখ টাকা

হাঁসের খামার থেকে মাসে আয় ২০ লাখ টাকা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলচারা গ্রামে গড়ে উঠেছে জাকির অ্যান্ড ব্রাদার্স অ্যাগ্রো ফার্ম হ্যাচারির হাঁসের খামার টি বছরে আয় করে ২০ লাখ টাকা। খামারটি গড়ে তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন।

২০০২ সালে মাত্র দেড় হাজার টাকায় ১২৬টি হাঁস নিয়ে খামারটি গড়ে তোলেন তিনি। আর ১৭ বছর পর আজ সেই খামারটি জেলার সবচেয়ে বড় হাঁসের খামারে রূপ নিয়েছে। যেখানে রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি হাঁস। সফল খামারি হিসেবে জাকির হোসেন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার।

জানা গেছে, প্রতিদিন খামার থেকে আট হাজারেরও বেশি ডিম সংগ্রহ করেন জাকির। যা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ঝিনাইদহসহ আশপাশের জেলার ডিমের চাহিদা মেটানো হয়। প্রতিটি ডিম ১০ টাকা দরে প্রতিদিন ৮০ হাজার এবং মাসে ২৪ লাখ টাকা আয় হয়। এছাড়া মাংসের হাঁস বিক্রি করে মাসে আয় হয় আরও ৪ লাখ টাকা। যা থেকে মাসে হাঁসের খাবার, কর্মচারীদের বেতনসহ আনুষঙ্গিক ৮ লাখ টাকা খরচ হয়। সুতরাং প্রতি মাসে জাকির হোসেনের লাভ থাকে ২০ লাখ টাকা। যা শুনতে স্বপ্নের মতো মনে হলেও বাস্তব।

শুধু ডিম উৎপাদন নয়, বর্তমানে খামারে তিনি হাঁসের বাচ্চাও ফোটাচ্ছেন। খামারে ডিম ও মাংসের জন্য দুই ধরনের হাঁস পালন করা হয়। সেখানে বর্তমানে দশ হাজার হাঁসের জন্য কয়েক বিঘা জমির ওপর ১২টি সেড করা হয়েছে। খামারটিতে দেখাশোনার জন্য ২৪ জন কর্মী রাখা হয়েছে, যারা বেতনভুক্ত। খামারে প্রতিদিন আট হাজারেরও বেশি হাঁস ডিম দেয়। পাশাপাশি বছরে প্রায় দুই লাখ বাচ্চা ফোটানো হয়।

খামারের ম্যানেজার ইয়াছিন শেখ জানান, তিনি সাত বছর আগে খামারে চাকরি নেন। সে সময় খামারটি এতো বড় ছিল না। ধীরে ধীরে খামার বড় করা হয়েছে। চার মাস বয়স থেকেই হাঁস ডিম দেয়া শুরু করে। একটি হাঁস বছরে ২০০-২৫০টি ডিম দিয়ে থাকে। প্রতিটি ডিম ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে হাঁসের পাশাপাশি টার্কি মুরগি, কোয়েল পাখি, ছাগল, মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি চাষ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন   স্বপ্ল পুঁজির নার্সারি ব্যবসা করবেন কীভাবে

খামারের কর্মী শাহারা বেগম জানান, খামারের প্রতিটি সেড থেকে ডিম তোলেন তিনি। বেতনের টাকায় সন্তানদের লেখাপড়াসহ সংসারও চলে। খামারে অনেক এলাকা থেকে নারীরা কাজ করতে এসেছেন।

প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা থেকে হাঁসের খামার দেখতে আসেন অনেকে। জাকির হোসেন খামার করতে অন্যদের পরামর্শ দেন। তার হাঁস পালনে সফলতা দেখে এলাকার অনেক তরুণ স্বল্প পরিসরে খামার গড়ে তুলেছে।

জাকির হোসেন দৈনিক জাগরণকে জানান, শুরুটা খুব সহজ ছিল না। ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের ফল আজকের এই খামার। তবে স্বল্প পুঁজি নিয়েও হাঁসের খামার করা যেতে পারে। বিশেষ করে পুকুর, ডোবা অথবা খালের পাশে খামার গড়ে তোলা উচিৎ। কিন্তু অনেকে হাঁসের রোগ-বালাই নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে হাঁসের রোগ নির্মূল করা সম্ভব। হাঁস পালনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা ভাবছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

Comments are closed.

© All rights reserved © 2014 Ajkerkrishi.com