কিভাবে বুঝবেন আমে বিষ !!

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ফলে মেশানো স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কেমিক্যালকে অনেকে ‘বিষ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। গ্রীষ্মকালীন ফল, বিশেষ করে রাসায়নিকমুক্ত আম পেতে ফলের বোঁটা শুষ্ক কি না, তা যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বোঁটা শুষ্ক হলে বুঝতে হবে, এতে রাসায়নিক মিশ্রিত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বিষাক্ত ফলের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে অনেক শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক ম্যাংগো রিসার্চ সেন্টারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, “যখন আপনি আম অথবা এ ধরনের গ্রীষ্মকালীন ফলের বোঁটা শুষ্ক দেখবেন, নিশ্চিত হবেন এতে রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। মারাত্মক ক্ষতিকর ক্যালসিয়াম কার্বাইডের পাশাপাশি ইথাফোন গ্রীষ্মকালীন ফলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ফল রাতারাতি পাকানো ও আকর্ষণীয় রঙের জন্য এবং ফরমালিন ব্যবহার করা হয় ফল সংরক্ষণের জন্য।”

ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমে মিশ্রিত কার্বাইডের মতো রাসায়নিক মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এতে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। এই রাসায়নিক শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।”

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আম নগদ অর্থ আয়কারী প্রধান মৌসুমি ফল এবং এই সুস্বাদু ফলের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতিতে আমের প্রাধান্য রয়েছে।

ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, মাত্র ১০০ গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বাইড প্রায় ১০০ কেজি আম পাকাতে পারে। এই রাসায়নিক ক্যানসার, কিডনি ও লিভার সমস্যায় মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।

লোভী ব্যবসায়ী ও জড়িত অন্যরা আম ও লিচুতে দুই পর্যায়ে অবাধে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশাচ্ছে। অসময়ের ফলে সাধারণত রাসায়নিক মিশ্রিত থাকে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা তিনটি পর্যায়ে রাসায়নিক মেশাচ্ছে। অতি লাভের জন্য ফল পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক মেশানো বন্ধ করতে আরো প্রচার কার্যক্রমের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।

ড. আলীম উদ্দিন রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনগণের পাশাপাশি আম উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সচেতনতা তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

আরও পড়ুন   মুরগির জৈব নিরাপত্তা

 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now