চীনাবাদাম চাষ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
ফলনঃ ভালোভাবে যত্ন নিলে খরিপ মৌসুমে হেক্টরপ্রতি ২.০ থেকে ২.৫ টন চীনাবাদামের ফলন পাওয়া যায়।
- চীনাবাদামঃ ৯০-১১০ কেজি/হেক্টর (খোসাসহ)
- কাউনঃ ২ কেজি/ হেক্টর (একক ফসলের শতকরা ২৫ ভগ)
- কাউনঃ জ্যৈষ্ঠ মাস (মধ্য-মে থেকে মধ্য জুন মাস)
- চীনাবাদামঃ আষাঢ় মাস (মধ্য-জুন থেকে মধ্য-জুলাই মাস)
- চীনাবাদামঃ ১.৬-১.৮ টন/হেক্টর
- কাউনঃ ৫০০-৭০০ টন/হেক্টর
- চীনাবাদামঃ ঢাকা-১/বরি চীনাবাদাম-৫ ও বারি চীনাবাদাম-৬
- পেঁয়াজঃ স্থানীয়
- চীনাবাদামঃ ১১০ কেজি
- পেঁয়াজঃ ৪ কেজি (বীজ)
সারের নাম
|
সারের পরিমান/হেক্টর
|
ইউরিয়া
|
১০০-১১০ কেজি
|
টিএসপি
|
১৫৫-১৬৫ কেজি
|
এমওপি
|
১৯০-২১০ কেজি
|
জিপসাম
|
১৬৫-১৭৫ কেজি
|
জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে)
|
৪-৬ কেজি
|
বরিক এসিড (প্রয়োজনবোধে)
|
৯-১১ কেজি
|
- পেঁয়াজঃ মধ্য (চৈত্র থেকে মধ্য-বৈশাখ (এপ্রিল)
- চীনাবাদামঃ মধ্য-জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য-আষাঢ় (মে)
- পেঁয়াজঃ ৩২৩০-৩৫০০ কেজি/হেক্টর
- চীনাবাদামঃ ১৫৫০-১৬০০ কেজি/হেক্টর
- চীনাবাদামঃ ঢাকা-১/,বরি চীনাবাদাম-৫ ও বারি চীনাবাদাম-৬
- পেঁয়াজঃ স্থানীয়
- চীনাবাদামঃ চীনাবাদামের লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৪০ সেন্টিমিটার এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৫ সেমি।
- রসুনঃ লাইন থেকে লাইন এর দূরত্ব ১৫ সেন্টিমিটার এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৫ সেন্টিমিটার।
- চীনাবাদামঃ ১১০ কেজি
- রসুনঃ ৫০০ কেজি (আস্ত)
সারের নাম
|
সারের পরিমান/হেক্টর
|
ইউরিয়া
|
১০০-১১০ কেজি
|
টিএসপি
|
১৫৫-১৬৫ কেজি
|
এমওপি
|
১৯০-২১০ কেজি
|
জিপসাম
|
১৬৫-১৭৫ কেজি
|
জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে)
|
৪-৬ কেজি
|
বরিক এসিড (প্রয়োজনবোধে)
|
৯-১১ কেজি
|
- রসুনঃ মধ্য (চৈত্র থেকে মধ্য-বৈশাখ (এপ্রিল)
- চীনাবাদামঃ মধ্য-জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য-আষাঢ় (মে)
- রসুনঃ ২১০০-২৩০০ কেজি/হেক্টর
- চীনাবাদামঃ ১৬০০-১৭০০ কেজি/হেক্টর
চিনাবাদামের ৬ স্বাস্থ্য উপকারিতা
বচেয়ে সহজলভ্য এবং সস্তা বাদামটি হল চিনাবাদাম। ছোট বড় সবাই চিনাবাদাম খেতে পছন্দ করে। সাধারণত স্বাদের জন্যই চিনাবাদাম খাওয়া হয়ে থাকে। তবে এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, প্রতিদিন একমুঠো চিনাবাদাম দূর করে দেবে অনেক শারীরিক সমস্যা।
● নানাবিধ রোগ নিয়ন্ত্রণ: গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে পাঁচবার চিনাবাদাম খাওয়া হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়া পিত্তকোষ সংক্রান্ত ব্যাধি এবং কলেক্টোরাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
● কোলেস্টোরল কমায়: বর্তমান সময়ে কোলেস্টোরল খুব সাধারণ এবং পরিচিত সমস্যা। হৃদরোগের মূলে রয়েছে এই কোলেস্টোরল। চিনাবাদাম ভাল কোলেস্টোরল তৈরি করে এবং খারাপ কোলেস্টোরল দূর করে দিয়ে থাকে। এটি ফ্যাট কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারয়েড কমিয়ে ফেলে কোনো ধরণের ওজন বাড়ানো ছাড়া।
● ওজন হ্রাস করতে: চিনাবাদাম উচ্চ তৃপ্তিদায়ক খাবার। এটি আপনার পেট অনেক ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় চিনাবাদাম অথবা চিনাবাদামের মাখন খান। এটি দীর্ঘ সময় আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থির রাখে, যা ক্ষুধা লাগা প্রতিরোধ করে।
● ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে: প্রতিদিনাকার খাদ্য তালিকায় চিনাবাদাম রাখুন। এটি ২১% পর্যন্ত ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। এটি শর্করা শোষণকে ধীরগতি করে থাকে। সকালের নাস্তায় চিনাবাদাম রাখুন, এটি সারাদিন আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
● হতাশা রোধ করতে: সেরোটোনিন নামক উপাদান হতাশা পরিচালনা করে থাকে। চিনাবাদামে থাকা ট্রিপটোফেন উপাদান হতাশা রোধ করে থাকে। নিয়মিত চিনাবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন অথবা প্রতি সপ্তাহে দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটার খান। এটি হতাশা কাটাতে সাহায্য করবে।
● স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়ে থাকে। মস্তিষ্ক তার ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। চিনাবাদামের ভিটামিন বি৩ মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।