16.8 C
New York
Tuesday, September 19, 2023
spot_img

বানিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বেদানা বা আনার চাষ

বেনাপোল সীমান্তের নাভারন কুলপালা গ্রামে এই প্রথম বানিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে বেদানা চাষ। দেশীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকার কারনে সৌখিন এক চাষী জাহাঙ্গীর এই ফল আবাদে বানিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন। নিজে সফলতা অর্জনের পর বেদানা চাষের প্রসার বৃদ্ধি করতে গাছের চারা ও কলম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশের আবহাওয়াতেও বেদানা চাষ সম্ভব। বীজ ও কলম থেকেই জন্ম নেয় বেদানা গাছ ।

দিনাজপুর থেকে চারা সংগ্রহ নাভারন কুলপালা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালে বেদানার চাষ ২ বিঘা জমিতে ২শ ৭৭টি চারা রোপন করেন। প্রতিটি চারা ১২০ টাকা দরে ক্রয় করে চাষ করেছেন তিনি। ২ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এখন বিশাল আকৃত্তির ঝাড়ে রুপান্তরিত হয়েছে বেদানা গাছের। ফুল ও ফল ধরেছে প্রচুর । দেখলে চোখ ফেরানো ভার। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এ গাছের চারা রোপন করতে হয়। চারা রোপনের দেড় থেকে দু’ বছর পর বেদানার ফলন আসতে শুরু হয়।

বেদানা গাছ দেখতে সবুজ অনেকটা পাতা বাহার ফুল গাছের মত। তবে একটি গাছ ৬/৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। চলতি মৌসুমে প্রতিটি গাছের কান্ড থেকে বিপুল পরিমান বেদানার ফুলও ফল ধরেছে। দু’ধরনের জাতের বেদানা উৎপাদন হয়েছে এই জমিতে। এক ধরনের জাত সাদা আর এক ধরনের জাতের ফলন হচ্ছে গাঢ় লাল। এর মধ্যে বিশ্বের সর্বত্র লাল রঙের বেদানার কদর বেশি।

গাছ থেকে বেদানা সংগ্রহ করে এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে বেদানার কদর বেশী। বেদানা চাষের প্রসার বৃদ্ধি করতে এ বছর বেদানা গাছের দেড় হাজার গুটি কলম ২ লাখ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার হিরক কুমার সরকার জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়াতেও বেদানা চাষ সম্ভব। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বানিজ্যকভাবে এই চাষ বৃদ্ধি করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,868FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles