মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা

  • লাস্ট আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭
  • ১১৫ টাইম ভিউ
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা

লক্ষণ:

সাধারণত চারা রোপনের ৪/৫ সপ্তাহের মধ্যেই এ পোকারা আক্রমণ শুরু হতে দেখা যায় । তবে বেগুন গাছে ফুল আসা শুরু হওয়ার পর আক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকে । এই পোকার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে জমিতে সদ্য নেতিয়ে ডগা চোখে পড়ে । ফল আসার পূর্বে এ পোকার কীড়া কচি ডগায় আক্রমণ করে এবং এর ভিতরে খেতে থাকে । পরবর্তীতে ফল আসার পর অধিকাংশ কীড়াই কচি ফলে আক্রমণ করে । কীড়া কোন কোন সময় ফুলও খেয়ে থাকে । পূর্ণতা প্রাপ্ত হওয়ার পর কীড়া পুত্তলিতে পরিণত হওয়ার জন্য ফল থেকে সুড়ঙ্গ তৈরী করে মাটিতে নেমে আসে । কীড়া বের হওয়ার ছিদ্র ফলে স্পষ্ট দেখা যায় তবে ডগায় এই ছিদ্র পরিলক্ষিত নাও দেখা যেতে পারে । এ পোকা আক্রমণ শুরু হবার পর থেকে শেষ বার বেগুন সংগ্রহ পর্যন্ত চলতে থাকে ।

প্রতিকার:

ঋতুভেদে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের মাত্রায় ভিন্নতা দেখা যায় । উঞ এবং আর্দ্র আবহাওয়া এ পোকার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে গ্রীষ্মকালে এ পোকার ব্যাপকা আক্রমণ পরিলক্ষিত হয় । অন্যদিকে শীতকালে এ পোকার আক্রমণের হার কম থাকে । সেহেতু এ পোকা দমনের ব্যবস্থাপনাও ঋতুভেদে ভিন্নতর হওয়া বাঞ্চনীয় ।

গ্রীষ্মকালীন ব্যবস্থাপনা:

১. সপ্তাহে অন্ততঃ একবার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে ।

২. ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহারঃ চারা রোপনের ২/৩ সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে । (প্রতি শতাংশে ১টি)

৩. আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে জৈব বালাইনাশক, স্পেনোসেড ( ট্রেসার ৪ মিলি./ ১০ লি. পানি হারে ) স্প্রে করতে হবে । গাছের ফুল আসার সময় হতে প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে ।

আরও পড়ুন  আমের শোষক পোকা বা হোপার

৪. প্রতি ১৫ দিন পর পর উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে ।

৫. আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে ভলিয়াম ফ্লাক্সি ৩০০ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিঃলিঃ হারে বা কারটাপ গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সানটাপ ২.৪ গ্রাম/ লি. হারে বা সাইপামেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা ফেনকর্ড বা ম্যাজিক বা কট ০.৫ মিলি./ লি হারে বা ডেল্টামেথ্রিন গ্রুপের কীটমাশক যেমন: ডেসিস বা ক্র্যাকডাউন ১ মিলি./ লি হরে বা এ পোকার জন্য অন্যান্য অনুমোদিত রাসায়নিক কীটনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৪-৫ বার স্প্রে করতে হবে ।

শীতকালীন ব্যবস্থাপনা:

১. সপ্তাহে অন্ততঃ একবার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে ।

২. ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহারঃ চারা লাগানোর ২/৩ সপ্তাহের সধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে ।

৩. প্রতি সপ্তাহে একবার করে উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে ।

৪. আইপিএম প্রদ্ধতির এলাকাভিত্তিক প্রয়োগ করতে হবে ।

৫. আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে জৈব বালাইনাশক, স্পেনোসেড ( ট্রেসার ৪ মিলি./ ১০ লি. পানি হারে ) স্প্রে করতে হবে বা ভলিয়াম ফ্লাক্সি ৩০০ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিঃলিঃ হারে বা কারটাপ গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সানটাপ ২.৪ গ্রাম/ লি. হারে বা সাইপামেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা ফেনকর্ড বা ম্যাজিক বা কট ০.৫ মিলি./ লি হারে বা ডেল্টামেথ্রিন গ্রুপের কীটমাশক যেমন: ডেসিস বা ক্র্যাকডাউন ১ মিলি./ লি হরে বা এ পোকার জন্য অন্যান্য অনুমোদিত রাসায়নিক কীটনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৪-৫ বার স্প্রে করতে হবে ।

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

আরও পড়ুন  ছারপোকা তাড়াতে করণীয়

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
একই রকম পোস্ট