বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

রংপুর অঞ্চলে কৃষি সচিবের মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন

  • লাস্ট আপডেট : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬
  • ৭৩ টাইম ভিউ
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আŸদুল্লাহ গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রংপুর কৃষি অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, চলমান কর্মসূচি ও মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
মাঠ পর্যায়ে সফরকালে তিনি রংপুর জেলার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের টমেটো প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ, সরেজমিন কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা কার্যক্রম বিশেষ করে বিটি বেগুন, বারি মিষ্টি মরিচ ও ভুট্টা গবেষণা কার্যক্রম, মিঠাপুকুর উপজেলার কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র, ভার্মি কম্পোষ্ট, তরল জৈব সার ও ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচারাল প্রোডাকটিভিটি (আইএপিপি) প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম, তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুরে সজিনা রোপণ কর্মসূচি ও রিপার দিয়ে গম কর্তন এবং নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ফাতেমা মাশরুম সেন্টার পরিদর্শন করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দু’দিনব্যাপী মাঠ সফরকালে অন্যান্যের মাঝে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উপকরণ) মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক স.ম. আশরাফ আলী এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে রংপুর অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় মাঠ ফসল পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় কৃষি সচিব তার বক্তব্যের শুরুতে কৃষিতে সার্বিক উন্নয়নয়সহ খাদ্যে ভান্ডারে পরিণত রংপুর অঞ্চলের কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সাফল্যের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে উপস্থিত সকলকে আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের স্বীকৃতি এবং যথাযথ মর্যাদাদানের কথা উল্লেখ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলে প্রায় ৭৬ হাজার হেক্টর চর এলাকা রয়েছে। চরাঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত কর্মপ্রয়াসে সফলতার সাথে মিষ্টি কুমড়া, ডাল, তেল ও দানাজাতীয় জাতীয় ফসল আবাদ হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উপকরণ) মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, বোরো আবাদ কমিয়ে আউশ এলাকা বাড়ানো, মাটির সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ধৈঞ্চা চাষ এবং কুমড়ার মাছি পোকা জৈবিক উপায়ে দমনে ফেরোমোন ট্রাপ স্থাপনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে হলে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার বাড়াতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক স. ম. আশরাফ আলী বলেন, আলু উৎপাদনে রংপুর অঞ্চল গত পাঁচ বছরে বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে। তবে এ সাফল্যকে ধরে রাখতে হলে আলু কেন্দ্রিক কৃষি শিল্প গড়ে তোলার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন  লাউয়ের ফলন বৃদ্ধির উপায়

সূত্রঃ বাসস

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
একই রকম পোস্ট