আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
তাপদাহে শরীর থেকে পানিসহ নানা উপাদান বের হয়ে যায়। তাই খাদ্য তালিকায় রাখতে হয় এমন খাদ্য যেন, শরীর থেকে যা বের হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে তা পূরণ করতে পারে। এক্ষেত্রেও সজনে ডাটা রাখছে অন্যতম বড় ভূমিকা।
পুষ্টি সমৃদ্ধ এই সবজি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকলে মুক্তি মিলবে নানা রোগের হাত থেকে। সবুজ পাতা আর ডাটায় এখন লকলক করছে সজনে গাছগুলো। নানা গুণে সমৃদ্ধ এই সজনে ডাটা বৈশাখের অন্যতম প্রধান সবজি।
বাড়ির আঙিনা, মাঠে ঘাটে অথবা জমিতে এখন সব জায়গাতেই এই দেখা মিলবে চিরচেনা সজনে গাছের।
গরমের সবজি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া সজনে গাছের শুধু ডাটা নয়, পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়ার রীতি রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এই সজনে পাতায় রয়েছে নানা উপাদান। ভেষজ গুণের জন্য এই সজনে ডাটার গুণ বলে শেষ করা যাবে না।
সরিষা, আলু ও ডাল দিয়ে সজনের ডাটার ঝোল অথবা আলু আর সজনের ডাটার ঝোলের কথা মনে আসলেই জিহ্বায় রস চলে আসে।
শুধু কি তাই! সজনে ডাটা ও বড়ির ঝোল, সজনে ডাটা ও রুই মাছের ঝোল, সজনে ডাটা ও চিংড়ি ঝোল, সজনে আর কুমড়ো বড়ি, সজনে ও লাউ’র নিরামিষ, আলু-বেগুনসহ সজনের ডাটা, আম আলু সজনে ডাটার ঝোলতোও কম নয়।
এতগুলো খাবারের সঙ্গে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই সজনে সত্যি অসাধারণ। খেতেও যেমন সুস্বাদু, পুষ্টিতেও তেমন সমৃদ্ধ। সবমিলিয়ে সজনে ডাটাকে গ্রীষ্মকালীন সবজির রাজা বলা যেতেই পারে।
দেশে সজনে চাষের বিকাশ ঘটাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অধীনে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদন মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে।
এ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. মাসুদ মেহেদী বাংলানিউজকে বলেন, পুষ্টিকর এ সবজিকে ‘মিরাক্কেল ট্রি’ বলা হয়ে থাকে। ব্যাপকহারে এ সবজির বিস্তৃতি ঘটাতে একটি কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ জাতের সজনে অবমুক্ত আছে।
এই সজনের বহুমুখী ব্যবহারও রয়েছে। যেমন ফুল। সজনের ফুল বসন্তকালে খাওয়া ভালো। কারণ, এটি বসন্ত প্রতিষেধক। এছাড়া সর্দি কাশি, যকৃতের কার্যকারীতায়, কৃমি প্রতিরোধ, শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে।
আর ডাটা বা ফলে রয়েছে প্রচুর এমাইনো এসিড। যা বাতের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। বহুগুণের অধিকারী এই সবজি ইচ্ছে করলে যে কেউ বাড়ির আঙিনায় চাষ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুষ্টিগুণের কারণেই এই সবজির চাষ করা উচিত।
সোর্স- বাংলা নিউজ