আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
দুগ্ধ খামারে লোকসান ঠেকানোর কিছু কৌশল আমাদের দেশের খামারিদের জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু পালন করা হয়ে থাকে। দুধ উৎপাদনের জন্য অনেকেই আবার দুগ্ধ খামার গড়ে তুলেছেন। তবে রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ না করার কারণে অনেকেই লোকসানে পড়ে থাকেন। আজকে আমরা জানবো দুগ্ধ খামারে লোকসান ঠেকানোর কিছু কৌশল সম্পর্কে-
দুগ্ধ খামারে লোকসান ঠেকানোর কিছু উপায় :
খামারে কিছু কইশল অবলম্বন করলে সহজেই লোকসান ঠেকানো যায়। নিচে এগুলো বিস্তারিত দেওয়া হল-
১। দুগ্ধ খামারকে লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অপ্রয়োজনীয়, আনপ্রোডাক্টিভ গরু বা গাভীকে বিক্রি করে দিন। যে গাভীগুলো কনসেভ করতে সমস্যা, দুধ কম হয় সেগুলো খামারে রাখার প্রয়োজন নেই।
২। খামারে যত বেশী দুধ দেয়া গরু থাকবে তত বেশি লাভ হবে। বেশি দুধের জন্য গরুর জাত উন্নয়ন করে নিতে হবে। ভাল দুধের গরু কেউ তুলে দিয়ে যাবেনা বা ভাল দুধের গরু কেউ বিক্রিও করেনা। যেসব গরু বাজারে বিক্রি হয় দেখা যায় তার কোননা কোন সমস্যা থাকে যা ক্রেতা ধরতে পারেনা।
৩। দুগ্ধ খামারের লাভবান হতে খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। খামারের এলাকায় যেসব খাদ্য ভাল পাওয়া যায় গাভীকে সেই খাদ্য অভ্যাস করানোই ভালো। ভেজাল খাদ্য খাওয়ানোর থেকে খাদ্যে উপাদান কম রাখাটাই ভাল।
৪। দুধের ভাল দাম কমে গেলে প্যাকেট করে খুচরা বিক্রি বা দুগ্ধজাত পন্য তৈরীর উদ্যোগ নিতে হবে। একাই না পারলে কয়েকজন খামারি মিলে করতে হবে।
৫। দুগ্ধ খামারে জাত উন্নয়নের জন্য ভাল জাতের সিমেন ব্যবহার করে। ভাল সিমেন বা বীজ মানে ১০০% তা নয়। মনে রাখবেন গাভীকে ৭৫% উপরে নেয়া যাবেনা। সর্বাধিক খেয়াল দিবেন যে বুল বা ষাড়ের বীজ দিচ্ছেন তার কোয়ালিটি কেমন।
৬। দুগ্ধ খামারে ষাড় বাচ্চা না রাখলেই ভালো হয়। আর থাকলে তা বিক্রি করে দেওয়াই ভালো। শখের বসে কিছু বড় করলে সেটা আলাদা বিষয়।
৭ ৷ গর্ভবতী গাভীর জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য সরবরাহ। এ সময় প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি প্রয়োজন। যা গাভীর নিজের জন্য ও বাছুরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাভীর পুষ্টির উপর নির্ভর করে গাভীর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ও বাচ্চার দেহ গঠন। তাই গর্ভবতী গাভীকে বিশেষভাবে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।