আজ শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন

পলিথিনের শব্দে পালিয়ে যায় ইঁদুর

পলিথিনের শব্দে পালিয়ে যায় ইঁদুর

সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় উপদ্রব। সারা রাত ধরে আমনের খেতে গাছের গোড়া কাটে ইঁদুরগুলো। এদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন কৃষকেরা। কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁরা।

নিজেদের অসহায়ত্বের কথা এভাবেই তুলে ধরেন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার আমনচাষিরা। উপজেলায় এবার আমন মৌসুমের শুরুতে প্রচণ্ড খরা আর অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। এ অবস্থায় সেচযন্ত্র ব্যবহার করে আমনের চারা রোপণ করেন কৃষকেরা। পরে বেশ বৃষ্টি হয়। লকলক করে বেড়ে ওঠে আমনের খেত। আশ্বস্ত হতে না–হতেই শুরু হয় ইঁদুরের উপদ্রব।

কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পোকা দমনের কীটনাশক ব্যবহার করেও ইঁদুর তাড়ানো যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার পর আমনের খেতে ইঁদুর এসে গাছের গোড়া কেটে দেয়। পরদিন সেই আমনের গাছ গবাদিপশুকে খাওয়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এমন অবস্থায় কৃষি বিভাগের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পলিথিনের ঝান্ডা তৈরি করে পুঁতে দেন পুরো খেতে। বাতাসে সেই পলিথিন পতপত করে শব্দ করে। এ শব্দে ইঁদুর মনে করে কেউ আসছে, তাই ভয়ে পালিয়ে যায়। এখন আর ইঁদুর ধান কাটছে না।

উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের বাকডোকরা গ্রামের কৃষক মোজাক্কের বলেন, ‘নদী এলাকার জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি হয়। আমনখেতে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে পলিথিনের ঝান্ডা উড়িয়ে উপকার পেয়েছি।’

উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক একর জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মণ্ডল বলেন, এ বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবাদ হয়েছে আরও বেশি জমিতে। খেতের পোকামাকড় ও ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষার জন্য মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

আরও পড়ুন   আধুনিক পদ্ধতিতে পাহাড়ে চাষাবাদ

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

Comments are closed.

© All rights reserved © 2014 Ajkerkrishi.com
Developed By One Planet Web