আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
উত্তাল যমুনা এখন মরা নদী। কূলে জেগে ওঠেছে বিশাল চর। চরের কোথাও সমতল, আবার কোথাও উঁচু-নিচু। কিছু জায়গায় ছোট ছোট গর্ত। সেখানে রয়েছে ছোপ ছোপ জমে থাকা পানি। চরের এইসব গর্তে জমে থাকা পানিতে রোপণ করা হয়েছে বোরো ধান।
এ ধান রোপণে জমিতে কোনো চাষ দিতে হয়নি। এ কারণে উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে। আর তাই এ ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চরের কৃষকরা।
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বহমান যমুনা নদীর কূলে জেগে ওঠা বালু চরে আগাম জাতের কালো বোরো ধান চাষের এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, শুকনো মৌসুমে এ বছর যমুনা নদীর কূলে জেগে ওঠা চরে বোরো ধান চাষ করেছেন শত শত কৃষক। নদীর কূলে ধানের সবুজ চারাগাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে।
প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদী পানি শূন্য হয়ে যায়। তবে, উজান থেকে নেমে আসা সামান্য পানিতেই নদীর কূলের ভূমিহীনরা প্রতি বছর চাষ করেন বোরো ধান। এবারও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ধান চাষ করেছেন তারা।
চর এলাকার বোরো চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজস্ব জমি না থাকায় তারা কোনো ফসলই চাষাবাদ করতে পারেন না। অপরদিকে সেচ দেওয়া পানির চেয়ে নদীর চুয়ে আসা পানিতে বোরো চাষ অনেক বেশি উপকারী। তাই নদীর কূলে চরের নরম পলিমাটিতে বোরো ধান লাগানো হয়। এতে সার ও সেচসহ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সাশ্রয় হয় চাষিদের। এ জাতের ধানের ফলন প্রতি বিঘায় প্রায় আট-নয় মণ করে পাওয়া যায়।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, নদীর তীরবর্তী দরিদ্র জনগোষ্ঠী কালো বোরো ধান চাষ করেছেন। আগে এসব বালুচর পতিত থাকতো। নদীর এসব পতিত জমিতে বোরো ধান চাষ করে চাষিরা স্বচ্ছলতা পাচ্ছেন।
এদিকে, চরের কৃষকদের বোরো ধান চাষে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় সহায়ক ভূমিকা এবং চাষাবাদে ভূমিহীনদের আর্থিক অনটন ঘোচার পাশাপাশি এলাকার খাদ্য চাহিদা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।