মাইক্রোপ্লাস্টিকে হুমকির মুখে সামুদ্রিক প্রাণী
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহে পাঠানো তাদের কিউরিওসিটি রোভারের একটি সেলফি প্রকাশ করেছে।
অত্যন্ত পরিষ্কার ও স্পষ্ট এই ছবিটি তুলেছে কিউরিওসিটি নিজেই, যেখানে দেখা যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহের উপরি-পৃষ্ঠ যা দেখতে অনেকটা এই পৃথিবীরই কাদামাটির মতো। এর পাশাপাশি কয়েকটি ভিডিও-ও পাঠিয়েছে কিউরিওসিটি। সবগুলো ভিডিও একসাথে জোড়া দিয়ে সেটি নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গল গ্রহে মাউন্ট শার্প নামের যে পাহাড়ি জায়গাতে গবেষণা চালাচ্ছে নাসার মহাকাশ যান এই ছবিগুলো সেই এলাকার।
সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাঁচ বছর আগে যখন কিউরিওসিটিকে মঙ্গলে পাঠানো হয়েছিলো তখন উদ্দেশ্য ছিলো মাউন্ট শার্পের পাদদেশে গবেষণা চালানো। কারণ সেখানে কোটি কোটি বছর ধরে কাদামাটির মতো স্তর তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন, পানির উপস্থিতিতেই এসব স্তর তৈরি হয়েছে। সম্ভবত সেখানে একসময় লেক ছিলো বলেও তারা ধারণা করছেন।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোটি কোটি বছর আগে এই মঙ্গলে জল ছিলো। জল ছিলো মঙ্গলের মাটির তলায়। কিন্তু কোথায় গেল সেই পানি?
নাসার বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ বলেছেন, মাউন্ট শার্পের কাছাকাছি জল ছিলো। এবং সেই জল ছিলো অনেক দিন ধরে।
“১৯৯৬ সালের আগে আমাদের ধারণা ছিলো যে মঙ্গল হচ্ছে চাঁদের মতো, সেখানে কোনো জল নেই। কিন্তু মঙ্গল গ্রহ থেকে যেসব ছবি ও তথ্য পাওয়া গেছে তাতে আমাদের ধারণাটা পাল্টে যায়।”
তিনি বলেন, ” আমাদের পৃথিবীতে নদীতে যখন জল বয়ে যায় তখন তার তলায় বালি জমা হয়। তেমনি মঙ্গলেও কোটি কোটি বছর ধরে বয়ে যাওয়া নদীর তলদেশে এসব বালি জমা হয়েছে। মাউন্ট শার্প এলাকায় আছে এরকম বহু স্তর। এসব পরীক্ষা করে দেখার জন্যেই সেখানে কিউরিওসিটিকে পাঠানো হয়েছে,” বলেন ড. ঘোষ।
তিনি বলছেন, “মঙ্গলে এটমোসফেয়ারিক চাপ খুব কম। কিন্তু ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছরআগে মঙ্গলের এটমোসফেয়ারিক চাপ পৃথিবীর মতোই ছিলো। ফলে সেখানে পানি থাকতে পারতো। কিন্তু এখন চাপ কম হওয়ার কারণে পানি বের হলেই সেটা জলীয় বাষ্প হয়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, এখনও মঙ্গলের মাটির মধ্যে পানি রয়েছে। কিন্তু উপরে এলেই সেটা হারিয়ে যাচ্ছে।
কিউরিওসিটি রোভার থেকে পাঠানো সবশেষ এই ছবিটি দেখে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে কি ধারণা করা যায়?
এবিষয়ে শুনুন নাসার বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষের সাক্ষাৎকার। শুনতে হলে আপনাকে উপরের অডিও লিঙ্কটিতে ক্লিক করতে হবে।