আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন

মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য

প্রাকৃতিক খাদ্য

মাছের নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রীকে প্রধানত দু’ ভাগে ভাগ করা যায় — প্রাকৃতিক খাদ্য ও পরিপূরক খাদ্য বা কৃত্রিম খাদ্য।

প্রাকৃতিক খাদ্য : পুকুরে বা জলাশয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এক ধরনের খাদ্য উত্পন্ন হয়। এদের প্রাকৃতিক খাদ্য বলে। এরা খুব ছোট ছোট হয় এবং জলের ঢেউ যে দিকে যায়, এদের গতিও সে দিকে হয়। এই প্ল্যাঙ্কটন দু’ ধরনের হয় —

  • (ক) উদ্ভিদকণা (ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন)
  • (খ) প্রাণীকণা (জুপ্ল্যাঙ্কটন)
  • (ক) উদ্ভিদকণা : জলে ভাসমান অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ জাতীয়কণাকে উদ্ভিদকণা বলে। পুকুরে জলের রঙ সবুজ হলদে বা সবুজ বাদামি হওয়ার জন্য এই উদ্ভিদকণা। এরা মাছের আদর্শ খাদ্য।
    • (১) সবুজ শ্যাওলা : মাছের খুব পছন্দের খাবার। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দেহে ক্লোরোফিল বা সবুজ কণার অবস্থান। যে সব জলাশয়ে জল স্থির থাকে ও বাতাস দ্বারা আন্দোলিত হয় না সেখানে এদের প্রাধান্য দেখা যায়। কখনও কখনও এ ধরনের সবুজ শ্যাওলার আধিক্যের জন্য জলের উপরে একটি স্তর সৃষ্টি হয় ও পরে পরে জল দূষিত হয়। বিভিন্ন সবুজ শ্যাওলার মধ্যে ক্লোরেলা, ক্লামাইডোমোনাস, ইউডোরিনা, ভলভক্স, ক্লস্টোরিয়াম, সিনেডেসমাস ও ইউলোইথ্রিকস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এই ধরনের শৈবালের আধিক্য বেশি দিন থাকে না। সামগ্রিক ভাবে সার প্রয়োগ ও পরিপূরক খাদ্য বন্ধ করলে এরা নিয়ন্ত্রিত হয়।
    • ২) ব্লু গ্রিন এ্যাল্গি : এরাও জল ও বাতাসের খাদ্য গ্রহণ করে বংশ বৃদ্ধি করে। জীবন্ত ও মৃত অবস্থায় এগুলিও মাছের খাবার হয়ে যায়।
  • খ) প্রাণীকণা : প্রাণীজাত সব ধরনের প্ল্যাঙ্কটনকে ‘জুপ্ল্যাঙ্কটন’ বলে। এরা আকৃতিতে উদ্ভিদকণা অপেক্ষা বড়। একটি পরিষ্কার স্বচ্ছ বোতলে পুকুরের জল নিয়ে দেখলে দেখা যায় যে এরা নাড়াচড়া করেছে। পুকুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাণীকণা জন্মালে জলের রঙ ধূসর সাদাস হালকা বাদামি বা হালকা কালো দেখায়। এরা ডিমপোনা বা ধানি পোনার প্রধান খাদ্য। রটিফার নামক এক ধরনের অনুবীক্ষনিক নিম্ন প্রাণী জলাশয়ে দেখা যায়। এরা হল মাছের প্রিয় খাদ্য এবং মাছ চাষের পুকুরে যাতে এই সব প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মায় সে দিকে নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন   গ্রীষ্মকালীন সবজির সার ব্যবস্থাপনা

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

Comments are closed.

© All rights reserved © 2014 Ajkerkrishi.com
Developed By One Planet Web