আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
শিশুর চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় উত্তম খাবার
কমবেশ সকল বয়সের লোকদের মধ্যেই দৃষ্টি সমস্যা সচারাচর দেখা যায়। প্রধানত চোখের সুস্বাস্থ্য খাবারের উপর ও আত্নযত্নের উপর নির্ভর করে। তাই খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া অত্যন্ত অত্যাবশ্যক।
নিচে কিছু খাবারের গুরুত্ব আলোকপাত করা হলঃ
সবুজ শাকসবজীঃ সবুজ শাকসবজীতে রয়েছে carotenoids lutein ও zeaxanthin। Lutein ও zeaxanthin উভয় চোখের স্বাস্থ্যের জন্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর পদার্থ। Lutein কেন্দ্রীয় দৃষ্টি রক্ষার্থে সাহায্যের জন্য বেশ পরিচিত এবং ব্লু লাইটশোষণে (অ্যাবজোর্পশন) সাহায্য করে। উভয় পদার্থেরই চোখের ছানির ঝুঁকি কমানোর সাথে সংযোগ রয়েছে।
ডিমের কুসুমঃ ডিমের কুসুম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনের পাশাপাশি Lutein ও zeaxanthin উভয় পদার্থের একটা ভালো উৎস। সম্প্রতি একটা গবেষণার তথ্যানুযায়ী, সালাদের সাথে দুই একটা ডিম একত্রিকরণ পুরো খাবার থেকে নয় গুণের বেশি ক্যারোটিনয়েড অ্যাবজোর্পশন বাড়িয়ে দেয়। ডিমের মধ্যে জিংকও পাওয়া যায় যা Lutein ও zeaxanthin সমেত ম্যাকিউলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি (ঝাপসা সৃষ্টি কিংবা দৃষ্টিহীনতার জন্যে দায়ী অবস্থা) কমায়।
গাঁজরঃ আপনি হয়তো শুনেছেন যে গাঁজর চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন করে ও দৃষ্টিশক্ত রক্ষা করে। কথাটি সত্য; বিটা ক্যারোটিন (ভিটামিন এ) চোখের রেটিনা ও অন্যান্য অংশকে সহজভাবে কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।
সাইট্রাস ফ্রুটসঃ এসকল ফলমূলকে ভিটামিন সি এর পাওয়ারহাউজ বলা হয়ে থাকে। ম্যাকিউলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি ও চোখে ছানি পড়ার মতো অবস্থা বিকশিত হওয়ার ঝুঁকি ভিটামিন সি হ্রাস করে তা গবেষণায় দেখা গেছে।
ফ্যাটি ফিশঃ টুনা, স্যামন, ব্লু ফিশ ও ট্রাউট ইত্যাদির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ DHA বা ওমেগা-৩, পলিআনস্যাচুরেটিড, ২২-কার্বন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ডিএইচএ এর অভাবে বা নিম্ন মাত্রার কারণে ড্রাই আই সিনড্রোম হওয়ার সাথে যোগসুত্র রয়েছে।
এই লেখাটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য।
মোঃ ফারুক হোসাইন