আজ শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

সফল কৃষাণী শিউলি

মানবকুলকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবার জন্য বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে নরসিংদী জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের সাবিকুন্নাহার শিউলি।

জৈব সার কেঁচো কম্পোষ্ট উদ্ভাবনে ২০১২ সালে তিনি পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ কৃষির উপর একক বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কার।

জানা যায়, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোখছেদ আলী ও উপজেলা কৃষি অফিসের বিশেষ সহযোগীতায় জৈব সার কেঁচো কম্পোষ্ট তৈরীতে উৎসাহিত হন কৃষাণী শিউলি।

এ জৈব সার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা, পাশ্ববর্তী বেলাব ও শিবপুর উপজেলার প্রায় আড়াইশ বিঘা জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা। তিনি নিজেও জৈব সার কেঁচো কম্পোস ব্যবহার করে ৫ বিঘা জমিতে শিম, আড়াই বিঘা জমিতে আলু ও ৪ বিঘা  সরিষা করেছেন।

এ সার ব্যবহারের ফলে জমিতে কোন রকম রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হয় না বলে বাড়তি কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। যার ফলে ফলনও ভাল। তার এ সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষক ঝুঁকে পড়েছেন তাদের ফসলি জমিতে এ জৈব সার কেঁচো কম্পোস ব্যবহারের উপর।

বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষাণী শিউলির এ অবদান দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা কামনা করেছেন কৃষাণী শিউলি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. শেফায়েত আহমেদ সিদ্দিক বলেন, “জৈব সার কেঁচা কম্পোস ব্যবহারের ফলে জমির পানি ধারন ক্ষমতা, উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি জমিতে ফলনও ভাল হয়।”

আরও পড়ুন   পেয়ারা বাগান থেকে বছরে আয় হচ্ছে ৬ লাখ টাকা

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

Comments are closed.

© All rights reserved © 2014 Ajkerkrishi.com
Developed By One Planet Web