আজ শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

কৃষকদের স্থায়ী উন্নয়নের পরিকল্পনা

কৃষকদের স্থায়ী উন্নয়নের পরিকল্পনা

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। কৃষকদের স্থায়ী উন্নয়নের মাধ্যমেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আর তাই কৃষকদের উন্নয়নে স্থায়ী এবং দীর্ঘমেয়দী পরিকল্পনার এনএটিপি-২ দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। এ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনুমোদন পায় এনএটিপি-২ (ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম-দ্বিতীয় পর্যায়) কর্মসূচিটি।

প্রকল্পটি ২০২১ সালের মধ্যে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, মৎস্য অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট। পনের বছর মেয়াদী এ পরিকল্পনার প্রথম অংশ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। আরো জানা যায়, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ দেশ।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন মূলত ছোট আকারের মিশ্র খামার প্রকৃতির। ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদনশীলতা এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। কৃষকের উৎপাদন ও গবেষণা পর্যায়ের উৎপাদন হারের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। উচ্চ মূল্যের কৃষি পণ্যের উৎপাদন বহুমুখীকরণের আশানুরূপ নয়। এসব সমস্যা হতে পরিত্রাণ পেতে দুর্যোগ সহিঞ্চু কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সামগ্রিক কৃষির উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিজ আয় বহুমুখীকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি, গবেষণা সম্প্রসারণ, সেবা কার্যকর ও স্থায়িত্বশীলকরণ ও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করবে পরিকল্পনা কমিশন।

ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২য় পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। মান সম্পন্ন বীজ সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন   দেশেই ফলবে বেঁটে প্রজাতির ‘ম্যাজিক নারিকেল’

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিন

Comments are closed.

© All rights reserved © 2014 Ajkerkrishi.com
Developed By One Planet Web