আজ শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ফেরি ঘাট থেকে ৪০ ড্রাম ভর্তি বাগদা চিংড়ির রেণুসহ ২ জনকে আটক করেছে পাগলা কোস্টগার্ড। এ সময় রেণু বহনকারী ট্রাকটি আটক করেন তারা। সোমাবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার রেণু জব্দ করেন।
সেই সাথে ট্রাকের চালক ঝালকাঠির করিম হাওলাদারের পুত্র নাসির হাওলাদার ও হেলপার বাগেরহাটের মজিদ মিয়ার পুত্র বক্কর মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত চিড়ির রেণুগুলো পরে লৌহজং উপজেলা ভূমি অফিসের সামনের পদ্মার শাখা নদীতে জনসম্মুখে অবমুক্ত করা হয়।
বিশাল এই চালান আটকের তত্ত্বাবধানকারী পাগলা কোস্টগার্ডের লে. কমান্ডার সায়ীদ এম কাসেদ জানান, ফেনির মাতামুহরী সমুদ্র উপকুল থেকে ৪০টি ড্রামে ভর্তি গলদা চিংড়ির রেণু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রীজ ও ঢাকার পোস্তাগোলা ব্রীজ হয়ে ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের বাগেরহাটের একটি হেচারিতে যাচ্ছিল এই চিংড়ির রেণু। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ফেনি থেকে সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে ট্রাকটি আটক করে কোস্টগার্ড। বর্তমান মৎস্য আইনে এই চিংড়ি ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে এই রেণু সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করে বাগের হাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিক্রির জন্য। পরে ট্রাক চালক হেলপারসহ চিংড়ির রেণুগুলো জব্দ করা হয়। পরে তা মুন্সিগঞ্জ জেলা মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তানান্তর করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আতিউর রহমান জানান, এ ধরনের চিংড়ির রেণু ধরা বর্তমানে নিষিদ্ধ রয়েছে। আটককৃত ট্রাক চালক ও হেলপাররের নিকট থেকে মুসলেকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে প্রতিটি বাগদা চিংড়ির পিএল বা রেণুর মূল্য প্রায় ৫ টাকা। সে হিসেবে প্রায় ২০ লাখ রেণুর মূল্য এক কোটি টাকা।