আজ শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
নওগাঁ জেলার ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সাপাহার উপজেলায় চলতি মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতীর দেশীয় ফলের পাশাপাশি সুমিষ্ট রসালো ফল আমের চারা রোপন ও বাগান তৈরীর হিড়িক পড়েছে।
সাপাহার উপজেলার এঁটেল মাটিতে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতীর আম অত্যান্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় ইতোমধ্যে দেশের মানুষের নিকট এই এলাকাটি বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
এখানে অতি অল্প সময়ের মধ্যে গড়ে উঠেছে উত্তর বঙ্গের সর্ব বৃহত আমের মোকাম। এ উপজেলায় আমের মোকাম তৈরী হওয়ায় সাধারণ কৃষকগণ ধানের জমিতে এখন আমের বাগান তৈরী করে অধিক মুনাফা অর্জন করছে।
আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। আম চাষিরা জানান ৩৩ শতক(একবিঘা) জমিতে সর্বোচ্চ ২০মণ ধান উৎপাদন হতে পারে যার বর্তমান বাজার মুল্যে ১৫-১৬হাজার টাকা। অপর দিকে ওই জমিতে যদি ২০টি ফজলী,নেংড়া ও খিরশাপাত জাতের আমের চারা রোপন করা যায় তাহলে ৩-৪ বছরের মধ্যে প্রতিটি গাছ থেকে কমপে ১০মণ করে আম পাওয়া যাবে।
আবার ওই জমিতে রোপনকৃত বড় জাতের আম গাছের নিচে সাথী হিসেবে ১০০টি আম্রপালী,মল্লিকা,বারী,হাই ব্রীড-১০ জাতের আমের চারা রোপন করা সম্ভব। হাইব্রীড ১০০টি গাছ থেকে অতিরিক্ত আরো ১৫-২০মণ আম পাওয়া যাবে। যার বাজার মুল্যে ৫০ হাজার থেকে ১ল টাকা হতে পারে। এক বিঘা জমিতে আম বাগান করা হলে বছরে কমপে ৫০ হাজার টাকা সেখান থেকে আয় হবে।
প্রতিটি গাছে প্রতি বছর আমের উৎপাদন বাড়তে থাকবে। আবার রোপনকৃত আম গাছের নিচে প্রায় ৫-৬ বছর ধরে ধান চাষাবাদ করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করা যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার এ এফ এম গোলাম ফারুক হোসেন জানান এ উপজেলায় ছোট বড় মিলে বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার আমবাগান রয়েছে।
বাগান গুলোতে প্রায় ৫ লাধীক বিভিন্ন প্রজাতীর আমগাছ রয়েছে। এ ছাড়া এখানে হাইব্রীড বরই,কুল,জলপাই, ডালিম,আনার,আমড়া সহ দেশীয় ফলের চারা রোপনের হিড়িক পড়েছে।
চলতি মৌসমে উপজেলায় কৃষকগণ বাজার থেকে ব্যাপক হারে আমের চারা ক্রয় করছে। সাপাহার উপজেলা সদরের সামনে গড়ে উঠেছে আমের চারার বিশাল হাট। এলাকার সকল শ্রেনীর মানুষ বাজার করতে এসে অন্তত একটি করে আমের চারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকার সর্বত্র আমরে চারা রোপনের ধুম পড়েছে। প্রতিদিন ধানী জমিতে নতুন নতুন আমের বাগান তৈরী হচ্ছে।